(১/১৬) রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দরিদ্র এবং নিম্ন শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। ফের এই নিয়ে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন তিনি। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
(২/১৬) দরিদ্র ও নিম্নশ্রেণীর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য চালু করা হলো নতুন একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ছেলেমেয়েরা প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্কলারশিপ হিসেবে পাবে। অর্থের অভাবে রাজ্যের কোনো ছেলে মেয়ে যেন শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেন।
(৩/১৬) এই প্রকল্পের দ্বারা দরিদ্র ছাত্র – ছাত্রীরা বিশেষ উপকৃত হবে এবং শিক্ষা গ্রহণে আরও মনোযোগী হবে বলে মনে করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
🔥 আরও পড়ুন: 👇👇👇
WB Primary TET Interview: টেট-এর নবম ইন্টারভিউ নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলো পর্ষদ!
🔥 আরও পড়ুন: 👇👇👇
🔥 আরও পড়ুন: 👇👇👇
👉 Pan Card Update: ১ লক্ষ টাকা পাবেন প্যান কার্ড থাকলেই! কারা কীভাবে পাবেন? জেনে নিন এক ক্লিকেই
(৪/১৬) রাজ্যে দরিদ্র শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগ। তবে এই সুবিধা পেতে হলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
(৫/১৬) মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসীন হন ২০১১ সালে। মুখ্যমন্ত্রী হবার পরে থেকেই তিনি রাজ্যবাসীর সার্বিক কল্যাণের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তিনি অনেকগুলি জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের উদ্ভাবন করেছেন।
(৬/১৬) ২০১১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তার উদ্যোগে শুরু হওয়া মোট জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সংখ্যা হলো ১০০টিরও বেশি। তিনি রাজ্যের সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্য কল্যাণমুখী কাজ করেছেন, তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারীদের জন্য একাধিক প্রকল্পের অবতারণা করেছেন।
(৭/১৬) রাজ্যের মহিলাদের জন্য তিনি যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন সুগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প, রাজ্যের পড়ুয়া ছাত্রীদের জন্য চালু করা প্রকল্প হল কন্যাশ্রী প্রকল্প, (Rupashree Prakalpa) রাজ্যের বিবাহ যোগ্যা যুবতীদের জন্য চালু করা প্রকল্প হল রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree Prakalpa)। সঙ্গে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রকল্প গুলি হল কর্মদিশা, কর্মতীর্থ, গতিধারা ইত্যাদি।
(৮/১৬) রাজ্যের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ার সাহায্যার্থে চালু করা প্রকল্প হল স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড (Students Credit Card), এছাড়াও রাজ্যের সকল সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে চালু করা প্রকল্প গুলির কমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi), খাদ্যসাথী (Khadya Sathi) ইত্যাদি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই সমস্ত প্রকল্প গুলির মাধ্যমে সকল রাজ্যবাসী উপকৃত হচ্ছে।
(৯/১৬) সম্প্রতি আবারো তার উদ্যোগে নতুন একটি প্রকল্পের অবতারণা করা হয়। তবে এই নতুন প্রকল্পটি কি? কারা এই নতুন প্রকল্পের সঙ্গে শামিল হতে পারবেন? সম্পূর্ণ জানতে হলে পোস্টটি বিস্তারিত পড়ুন।
(১০/১৬) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণী অর্থাৎ তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিদের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র – ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ পাবে। তবে তারা অবশ্যই তফসিলে জাতি এবং তফসিলি উপজাতি এর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
(১১/১৬) এই স্কলারশিপের প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৮০০ টাকা। ছাত্র – ছাত্রীরা প্রত্যেক বছর এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পাবে। এই প্রকল্পটির নাম হল ‘শিক্ষাশ্রী প্রকল্প’। কয়েক বছর আগে চালু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরূপ উদ্যোগ সর্বাগ্রে প্রশংসার যোগ্য। এই প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
‘শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে‘ আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা লাগবে –
(১২/১৬) “শিক্ষাশ্রী প্রকল্প” এর সুবিধা পেতে হলে যে যে যোগ্যতা গুলি থাকা অত্যাবশকীয় সেগুলি হলো –
১) আবেদন করার জন্য প্রথম শর্তটি হলো আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) এটি শুধুমাত্র তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র বা ছাত্রীদের জন্য।
৩) আবেদনকারী পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণীতে পাঠরত হলেই আবেদন করতে পারবে।
৪) তবে অবশ্যই আবেদনকারী পড়ুয়ার পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হতে হবে।
৫) আবেদনকারী একই সঙ্গে দুটি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে না। অর্থাৎ একটির বেশি বা একাধিক স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পাবে না।
৬) আবেদনকারী পড়ুয়ার আবেদন করার জন্য যেকোনো ব্যাংকে নিজের নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
৭) এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চাইলে ছাত্র বা ছাত্রীকে তার নিজস্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
“শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে” আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী:-
(১৩/১৬) এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া হল অনলাইন মাধ্যম। তাই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারী পড়ুয়াকে প্রথমে google search box এ Shikshasree বলে search করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইট টি খুলতে হবে। ওয়েবসাইট খোলার পর দেখা যাবে সেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী এই তথ্যগুলি পূরণ করতে হবে। আবেদন পূরণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
আবেদন করার জন্য কি কি লাগবে?
(১৪/১৬) “শিক্ষাশ্রী প্রকল্প” এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সময় যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান সহ আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) আধার কার্ড স্ক্যান করতে হবে।
২) BDO অফিস থেকে প্রাপ্ত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট স্ক্যান করতে হবে।
৩) স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রাপ্ত ইনকাম সার্টিফিকেট স্ক্যান করতে হবে।
৪) কাস্ট সার্টিফিকেট স্ক্যান করতে হবে।
৫) রিসেন্ট তোলা রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো স্ক্যান করতে হবে।
৬) নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতা স্ক্যান করতে হবে।
আবেদন করার শেষ সময়সীমা:-
(১৫/১৬) বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে এই প্রকল্পের আবেদন করার কাজ এখনও চলছে। এর শেষ তারিখ এখনো ধার্য করা হয়নি ছাত্রছাত্রীরা চাইলে যেকোনো সময় এটির জন্য আবেদন করতে পারে।
(১৬/১৬): নিবন্ধটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরি, সরকারি প্রকল্প, শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সবার আগে জানার জন্য আমাদের Sarkari Jagat-এর ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন এবং আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন, সেখানে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়।উপরোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করেই যুক্ত হতে পারেন এছাড়াও যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক নিবন্ধের শেষে দেওয়া হয়েছে। 👇👇👇
Important Links (গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমুহ)
🔥 আরও পড়ুন: 👇👇👇
👉 সুবর্ণ সুযোগ! মাত্র ৬০ টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি হওয়ার এই স্কিম আনল LIC! জানুন বিস্তারিত
👉 ৮০ টাকারও কমে আনলিমিটেড কল ও ডেটা, চলবে ১১ মাস! Jio, Airtel ফেল এই প্ল্যানের সামনে
👉 দিন রাত নেট চালান ও আনলিমিটেড কল করুন, Jio-র সেরা এই ডেটা প্ল্যানগুলি এখনই জেনে নিন
👉 DA Hike News: আজই বাড়ছে ডিএ! কত টাকা বেশি বেতন পাবেন? জেনে নিন