(১/৭) বর্তমান সময়ে আধার কার্ডের মতোই প্যান কার্ড (PAN Card) হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা যেকোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনের জন্য অপরিহার্য। ব্যাংকের যেকোন প্রকার কাজই এই প্যান কার্ড ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি ব্যক্তির কাছে প্যান কার্ড (PAN Card) থাকা অত্যন্ত জরুরি।
(২/৭) যদি কোন ব্যক্তির কাছে এই প্যান কার্ড (PAN Card) না থেকে থাকে তাহলে সে সরকার কর্তৃক একাধিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এমনকি ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও অনেক রকম বাধার সম্মুখীন হবে। তবে আজকাল প্রায় দেশের অধিকাংশ নাগরিকের কাছে প্যান কার্ড রয়েছে।
(৩/৭) যদি এমন হয় কারো প্যান কার্ড (PAN Card) হারিয়ে গিয়েছে বা চুরি গেছে তাহলে এক্ষেত্রে তার কি করনীয় ডুপ্লিকেট প্যান কার্ড তৈরি করা যাবে কিনা আজকের এই পোস্টে আমরা এর ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদের বলব। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
🔥 আরও পড়ুন:
DA Hike: ১ লাখ টাকার কাছাকাছি এক লাফে বাড়বে বেতন! বিরাট সুখবর চকুরিজীবীদের জন্য!
🔥 আরও পড়ুন:
👉 PAN Card: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্যান কার্ডের ১০ নম্বরেই রয়েছে, কোন নম্বরের কি অর্থ জানেন?
🔥 আরও পড়ুন:
(৪/৭) আয়কর বিভাগের মতে, একজন ব্যক্তির কাছে শুধুমাত্র একটি প্যান নম্বর থাকতে পারে। তিনি অন্য প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যদি কোন ব্যক্তির প্যান কার্ড হারিয়ে যায় বা চুরি যায় তাহলে এক্ষেত্রে সে দ্বিতীয় বার ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
(৫/৭) তাকে অন্য প্যান কার্ড দেওয়া হলেও তার প্যান নাম্বার (PAN Number) একই থাকবে।। ডুপ্লিকেট প্যান কার্ড এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন নিচে পদ্ধতিগুলি বলে দেওয়া হলো –
- প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টিআইএন-এনএসডিএল-এ যান।
- এবারে সংশোধন বা ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডের জন্য আবেদনের অপশনে ক্লিক করুন৷
- এরপর সেখানে প্রয়োজন মত আপনার সমস্ত তথ্য গুলি লিপিবদ্ধ করুন।
- সমস্ত তথ্য গুলি সঠিকভাবে আপলোড হলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
- এতে একটি টোকেন নম্বর আসবে। যা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য আবেদনকারীর নিবন্ধিত ইমেলে পাঠানো হবে।
- ‘ব্যক্তিগত বিবরণ’ পৃষ্ঠায় থাকা সমস্ত ফাঁকা জায়গাগুলি আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দ্বারা পূরণ করুন।
- এক্ষেত্রে প্যান অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে তিনটি মোডের মধ্যে বেছে নিতে হবে – শারীরিকভাবে আবেদনের নথি জমা দেওয়া, ই-কেওয়াইসি এবং ই-সাইনিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটালি জমা দেওয়া।
- ই-কেওয়াইসি এবং ই-সাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল জমা করার জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন। আপনার দেওয়া তথ্যগুলি যাচাই করতে আধারে দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। চূড়ান্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময়, ফর্মটিতে ই-সাইন করার জন্য সেখানে আপনার ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
- এরপরে আপনার পাসপোর্টের ছবি, স্বাক্ষর এবং অন্যান্য নথির স্ক্যান করা ছবি আপলোড করতে হবে।
- আপনার নথিগুলি আপলোড হলে, আবেদনপত্রটি প্রমাণীকরণের জন্য একটি ওটিপি আসবে।
- সেখানে দুটো অফসান আসবে এবং আপনাকে ফিজিক্যাল প্যান কার্ড এবং ইলেকট্রনিক প্যান কার্ডের মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ই-প্যান কার্ডের জন্য একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা প্রয়োজন হবে। এরপর যাবতীয় তথ্য দিয়ে এবং যোগাযোগের বিবরণ সহযোগে আপনার আবেদন পত্রটি পূরণ সম্পূর্ণ করুন এবং সবকিছু ঠিক থাকলে সেটি সাবমিট করুন।
- সব শেষে আপনি পেমেন্ট পেজ দেখতে পাবেন। সেটি সম্পূর্ণ করুন। এর একটি রসিদ তৈরি করা হবে।
(৬/৭) আপনার সমস্ত তথ্য সঠিক থাকলে এবং প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে এরপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্যান কার্ড দেওয়া হবে।
(৭/৭) নিবন্ধটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরি, সরকারি প্রকল্প, শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সবার আগে জানার জন্য আমাদের Sarkari Jagat-এর ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রবেশ করুন এবং আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন, সেখানে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়।উপরোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করেই যুক্ত হতে পারেন এছাড়াও যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক নিবন্ধের শেষে দেওয়া হয়েছে।
Important Links (গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমুহ)
🔥 আরও পড়ুন:
👉 Bank Loan: আধার কার্ড দেখালেই ব্যাঙ্ক লোন পাবেন! সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট! উপায় জেনে নিন
👉 চাকরির চিন্তা শেষ! ১.৫ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে আয় করুন এই ব্যবসা শুরু করেই
👉 PAN Aadhaar Link এদের আর করতে হবে না! কারা পাচ্ছেন রেহাই? জেনে নিন এখন
👉 বিরাট সুখবর! এবারে ৪২ দিন ছুটি পাবেন এক সাথে! নতুন এই ছুটির নিয়ম জারি করলো সরকার